রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের রাজারামপুর পাইটকাপাড়া গ্রামের মো. মোরসালিন (৩১) ও বদরগঞ্জ পৌরসভার জামুবাড়ী চাঁদকুঠিরডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমান মন্ডল ওরফে হৃদয় (১৯)। গতকাল রাতে তাঁদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ, করে অজ্ঞাত ১০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বদরগঞ্জ শহীদ মিনারের পাশে ইসতিয়াক হোসেনের একটি দোকানঘর রয়েছে। জাহিদুল হক নামের এক ব্যক্তি দোকানটি ভাড়া নিয়ে সেখানে ঢেউটিনের ব্যবসা করে আসছিলেন। এই দোকানকে কেন্দ্র করে ইসতিয়াক হোসেনের সঙ্গে ভাড়াটে জাহিদুল হকের লোকজনের মধ্যে ৪ এপ্রিল পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
এরপর দোকানটি তালাবদ্ধ ছিল, গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী লাভলু সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ইসতিয়াক বাবু শহীদ মিনারের পাশে যান। তখন আসামিরা ছোরা, রামদা, হাসুয়া, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে অতর্কিত তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে মাথায় ছুরিকাঘাতে লাভলু সরকার মারা যান।লাভলু মিয়া মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমাজ কল্যান বিষয় সম্পাদক ছিলেন।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মোরসালিন এজাহারনামীয় আসামি এবং হাবিবুর রহমান মন্ডলকে ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।
গত শনিবার দুপুরে বদরগঞ্জ শহীদ মিনারের পাশে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন, স্থানীয় বিএনপি কর্মী উপজেলার মধুপুর কালজানি গ্রামের লাভলু সরকার (৫০)। ওই ঘটনার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের আট নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।